রোববার রাতে লোহাগড়া থানার এসআই মাকরুফ রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় জানান, মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় দুইটি মামলা করা হলো। এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, কলেজছাত্র আকাশের ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করেই গত শুক্রবার হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শনিবার রাতে খুলনা থেকে তাকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এরপর ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার’ মামলায় আকাশকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, এক ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দীঘলিয়ায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আকাশ সাহার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে লোকজন।
বিকালে উত্তেজনা আরও বাড়ে এবং সন্ধ্যায় ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় মন্দিরে ঢিলও ছোঁড়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় জানান, বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দুটি মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে। বাকি আসামিদেরও অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন