শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, “বড় ধরনের একটি বাধা ছিল ব্রিজের ওপরের কাজ। শনিবার সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। আশা করছি এ মাসে কিংবা এই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজের রেল লাইন বসানোর অনুমতি পাব।”
ঢাকা-ভাঙ্গা-যশোর রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ; ২০২৪ সালের ৩০ জুনে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে বলে মন্ত্রী জানান।
প্রকল্পটি সময়মতো বাস্তবায়ন করতে তিন ভাগে কাজের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিুজন বলেন, সে পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত আরও একটি অংশ।
তিনি জানান, এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৫১ শতাংশ।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “আগামী জুন মাস অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত চলবে রেল। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়বে।”
তিনি বলেন, ভাঙা পুরাতন রেল স্টেশন পর্যন্ত পথটি চালু হলে রাজবাড়ি হয়ে পুরাতন পথটি ধরে কুষ্টিয়া ও যশোর হয়ে খুলনা যেতে পারবে। যেতে পারবে বেনাপোল পর্যন্ত কয়েকটি জেলায়।
এর আগে রেলপথ মন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট-২ এর পাথরবিহীন রেল লাইন পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, প্রধান সমন্বয়ক এফ এম জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।