বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাবেদ এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা।
এরা হলেন মামলার প্রধান আসামি আজিজুল হক সিকদার, দুই নম্বর আসিামি ফিরোজ আলম, ১৫ নম্বর আসামি মোহাম্মদ মুন্না ও ১৭ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রিয়াজ।
আজিজুল হক সিকদার ও ফিরোজ আলমকে র্যাব এবং অপর দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান রেজা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে একদল হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, খুরুশকূলের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের অবহেলা আছে কি না খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ১৫ নম্বর ও ১৭ নম্বর আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
"এছাড়া মামলা দায়ের হওয়ার আগে পুলিশের অভিযানে সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে মামলার বাদীর শনাক্তের ভিত্তিতে মো. সেলিম নামের একজনকে আসামিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার অপর ৫ জনের ব্যাপারে আদালতে বাদীর অনাপত্তির তথ্য অবহিত করা হয়েছে।"
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত দুই আসামি এবং র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার প্রধান আসামিসহ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালতে শুনানি শেষে প্রত্যেকের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
আদালতের আদেশনামা হাতে পাওয়ার পর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মো. সেলিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: