মঙ্গলবার রাত ১১টায় নিহতের ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান।
তিনি বলেন, মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আজিজ সিকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তবে অপর আসামিদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেনি পুলিশ।
নিহত মো. ফয়সাল উদ্দিন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের স্বজন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, রোববার বিকালে উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া এলাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলের বাইরে সশস্ত্র লোকজন দেখতে পেয়ে হামলার আশঙ্কা করেছিলেন ফয়সাল উদ্দিন। পরে বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশকে অবহিত করেন।
কিন্তু পুলিশ ফয়সালকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে। সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীও ছিলেন। অটোরিকশাটির পেছনে ছিল পুলিশের গাড়িটিও। এর মধ্যে ফয়সালকে বহনকারী অটোরিকশা ডেইলপাড়ায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তা থামিয়ে ‘পুলিশের উপস্থিতিতে’ এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে পরদিন সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বুধবারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, হামলায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে পুলিশ এবং প্রধান আসামি আজিজসহ দুজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে।
অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: