উপজেলার গোপরেখী দক্ষিণপাড়ার এই বাড়িটি পুলিশ সোমবার সকাল থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, জিনিসটা বোমা নয়।
বাড়ির মালিক গফুর হোসেন জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ‘ঘোরশাল সাহিত্যিক বরকত উল্লাহ কলেজের’ প্রভাষক।
গফুর বলেন, রোববার রাতে তাকে মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে বলা হয়, তাদের খাবার ঘরে একটি বোমা রয়েছে। খোঁজাখুঁজি করে কার্টনের মধ্যে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো লম্বাটে একটি বস্তু দেখতে পান তারা।
সকালে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাড়িটি ঘিরে রাখে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বোমাসদৃশ্য বস্তটি উদ্ধারের জন্য বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়।
“ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে আসা র্যাবের বিশেষজ্ঞ দল রাত পৌনে ৯টার দিকে বস্তুটি উদ্ধারের পর ধংস করে। এতে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য লাল টেপে মোড়ানো বোমাসাদৃশ্য বস্তুটি শিক্ষকের খাবারের ঘরে রেখে দিয়েছিল।”