সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “রোববার রাত থেকে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত খুরুশকূল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।”
তবে আটকদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি পুলিশ।
নিহত মো. ফয়সাল উদ্দিন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি রোববার বিকেলে খুরুশকূল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন দেখতে যান।
সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন ফয়সাল। পথে খুরুশকূল ইউনিয়নের ডেইলপাড়ায় একদল দুর্বৃত্ত অটোরিকশা থামিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আটকে রোববার রাত থেকেই অভিযান শুরু করে পুলিশ।
“সোমবার সকাল পর্যন্ত নারীসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ছয়জনকে আটক দেখানো হয়।”
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বেলা ১২টায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত স্বজনদের কাছ থেকে কোনো এজাহার পাওয়া যায়নি।
এজাহার পেলে আটকদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে স্বজন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলের বাইরে সশস্ত্র লোকজন দেখতে পেয়ে হামলার আশঙ্কা করেছিলেন ফয়সাল উদ্দিন। পরে বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশকে অবহিত করেন।
কিন্তু পুলিশ ফয়সালকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে। সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীও ছিলেন। অটোরিকশাটির পেছনে ছিল পুলিশের গাড়িটিও। এর মধ্যে ফয়সালকে বহনকারী অটোরিকশা ডেইলপাড়ায় পৌঁছালে দুর্বৃর্ত্তরা তা থামিয়ে ‘পুলিশের উপস্থিতিতে’ এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আরো পড়ুন