ঘটনাটি জানাজানির পর পিস্তলটি জব্দ ও মনসুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নতুন একটি মামলা করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪৫ বছর বয়সী মনসুর আহমেদ গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার পিরুজালি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. জাকির হাসান বলেন, “জমি সংক্রান্ত জাল-জালিয়াতির একটি মামলায় জামিনের জন্য রোববার দুপুরে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ হাজির হন মনসুর। এ সময় বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে আসামি তার সঙ্গে লাইসেন্স করা একটি পিস্তল আছে বলে জানান। পরে পুলিশ দ্রুত পিস্তলটি জব্দ করে।”
“আদালতে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা বেআইনি, সেটা হোক বৈধ। তাই তার বিরুদ্ধে মহানগরের সদর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।” যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পিরুজালী ইউনিয়ন পরিষদের এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, মুনসুর জমি কেনাবেচার কাজ করেন। তার বোনদের সঙ্গেও জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এছাড়া অন্যের জমিতে গভীর করে মাটি কেটে বিক্রি করা ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুন্সি আবু কুদ্দস জানান, মনসুরের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতিসহ মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।