আসামিদের একজন জামায়াত নেতা কাজী গোলাম কিবরিয়া নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর।
গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতের এই প্রার্থী। তিনি কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সদস্য।
এদিকে, অটোরিকশা চালককে হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের মা।
মামলায় আসামিরা হলেন নগরীর সুজানগর হাড্ডিখোলা এলাকার প্রয়াত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. রনি (৩০), কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া, সুজানগর হাড্ডিখোলার দুলাল মিয়ার ছেলে সুজন ওরফে ডিস সুজন, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর মধ্যপাড়ার শাহ আলমের ছেলে মো.ইব্রাহিম, কুমিল্লা সদর উপজেলার বাটকাশ্বরের প্রয়াত ইদুন মিয়ার ছেলে এছহাক। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নগরীর বজ্রপুর কাশারিপট্টি এলাকার নিহত মো. ইয়াছিন হোসেন রবির মা শিরিন আক্তার রোববার এই সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিরিন আক্তারের দাবি, কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
তিনি আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া গত ২১ জুন দুপুরে কুমিল্লা পূজামণ্ডপে নাশকতা মামলায় জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে গেছেন। এখনও তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। আর মামলার অন্যান্য আসামিরা এলাকা থেকে পলাতক রয়েছেন।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সহিদুর রহমান বলেন, “আমরা হত্যা মামলাটি ভালোভাবে তদন্ত করছি। তদন্তে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে। কাউন্সিলর কিবরিয়া কারাগারে রয়েছেন। প্রয়োজনে তাকে এই হত্যা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।”