ভাঙন ঠেকানোর জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। গত কয়েকদিনে ওই ইউনিয়নের চিত্রী, চরলাপাং ও দড়িলাপাং গ্রামের অন্তত ২৫টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি জানান, নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে ঝুঁকিতে আছে নদী তীরবর্তী আরও অন্তত অর্ধশত ঘর-বাড়ি। ভয়ে অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আবার আস্ত টিনের ঘরই সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত খায়েস মিয়া বলেন, মাত্র এক ঘণ্টার ভাঙনে তার ঘর বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। এখন মানবেতর অবস্থায় আছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে অবস্থার আরও অবনতি হবে।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ অর্থ সহায়তা ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।