শনিবার দুপুরে নগরীর অশোকতলায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাহ আলম খান।
এর আগে শুক্রবার বিকালে একই এলাকায় নিজ বাসভবনে শাহ আলম খানের বিরুদ্ধে হামলা ও চাাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ব্যবসায়ী নাছির খান মুন্না।
মুন্না অভিযোগ করেছিলেন, নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহ আলম খান তার [মুন্না] বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন এবং তার কাছে চাঁদা দাবি করেছেন।
নাছির খান মুন্না জেনিস গ্রুপের চেয়ারম্যান। কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ আলম খান ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন। এছাড়া ওই ওয়ার্ডে দুইবার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এবারও তিনি দলের সমর্থন পেয়েছিলেন; তবে নির্বাচনে হেরে যান।
শনিবারের সংবাদ সম্মেলন শাহ আলম খান বলেন, “নাছির খান মুন্না আমার ভাতিজা। কিন্তু সে আমাদের কারো ভালো দেখতে পারে না। ২০১২ ও ২০১৭ সালের সিটি নির্বাচনেও সে আমাকে ফেল করানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল।”
এরপরও মুন্নাসহ কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে তাকে নির্বাচনে ফেল করিয়েছেন বলে শাহ আলমের অভিযোগ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “নির্বাচনের পর থেকেই মুন্না আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
মুন্নার সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ বিষয়ে শাহ আলম খান বলেন, “আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন – নির্বাচনে হেরে গেলে কেউ চাঁদা চায়, এমন নজির কোথাও আছে? আর আমি কেমন সেটা কুমিল্লার মানুষ জানে।”
মুন্না তার সম্মানহানি করেছেন বলে অভিযোগ শাহ আলমের।
এ ছাড়া তিনি মুন্নার বাড়িতে হামলা চালাননি বলে দাবি করে বলেন, “বরং নাছির খান মুন্না বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়েছে। মুন্না ঢাকায় থাকে। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ফিরে কয়েকটি স্থানে মিটিং করে আমার উপর হামলার পরিকল্পনা করেছে। এরপর রাতে বাড়ির সামনে আমার উপর হামলা করে এখন নিজেকে বাঁচাতে উল্টো দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।”
এ ঘটনায় তিনি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম খানের স্ত্রী আলেয়া খানম পলাশ ও তার নিকটাত্মীয় এস আলম উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে নাছির খান মুন্না অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শাহ আলম খানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক পিস্তল, দা-ছেনি, রামদা, রড, লাঠি নিয়ে তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রাখা হয়। পরে তিনি খবর দিলে পুলিশ ও এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।