প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান শনিবার বলেন, “বৃহস্পতিবার কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলে জিতু ও তার ‘বান্ধবী’কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী জিতুকে স্থায়ী বহিষ্কারের পর একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
“পরবর্তীতে তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে তাকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।”
এ ঘটনায় নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
উৎপল হত্যাকাণ্ডে টানা পাঁচ দিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর শনিবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টা থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক শাখার পাঠদান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় হাইস্কুল ও কলেজ শাখার পাঠদান।
অধ্যক্ষ বলেন, “স্বাভাবিক পাঠদান শুরু করেছি আমরা। তবে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি খুবই কম। সত্যিকার অর্থে এখনও অনেকের আতঙ্ক কাটেনি। তার ওপর ঈদ চলে আসায় অনেক শিক্ষার্থী গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় উপস্থিতি কম।”
রোববার থেকে প্রতিষ্ঠানের ঈদের ছুটি শুরু হবে। ছুটি থাকবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।
এদিকে উৎপলকে ছাড়া পাঠদানে মনোযোগী হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা। বারবার উৎপলের স্মৃতি তাদের নাড়া দিচ্ছে। কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তাদের।
কষ্ট হলেও শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে পাঠদান শুরু করতে হচ্ছে জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, “উৎপল স্যারের অনুপস্থিতিতেই আমাদের ক্লাস শুরু করতে হচ্ছে। কারণ বাচ্চাদের কথাটাও চিন্তা করতে হবে। ওদের ভবিষ্যত কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।”
পাশাপাশি উৎপলের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সোচ্চার থাকবেন বলেও জানান এই শিক্ষক।
প্রধান আসামি জিতুর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উজ্জ্বল হোসেন ও জিতু দুজনকেই পাঁচ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল কলেজটির শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করে আশুলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: