সাভারে কলেজ শিক্ষক উৎপল সরকার হত্যা এবং নড়াইলের কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষক বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, শিক্ষকরা আজ কেন রাস্তায় নেমেছে? শিক্ষক কেন ছাত্রের হাতে প্রাণ হারাল? সরকার এ নিয়ে কথা বলছে না কেন? ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা কি তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে?
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক যখন কোনো ছাত্রের হামলার শিকার হওয়ার আতঙ্কে থাকে তখন পাঠদান ব্যাহত হয়। তাই সরকারকে শিক্ষকদের নিরাপত্তা দিতে হবে।
কলেজ শিক্ষক উৎপল খুনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে শিক্ষক নেতারা বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ১৭ জুন সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কিছু মুসলমান ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলেন।
এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস পুলিশে খবর দেন। এরই মধ্যে ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ বাঁধে।
সে সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা স্বপন কুমারের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়।
অপরদিকে গত ২৫ জুন আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্কুলমাঠে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। দুদিন পর মারা যান উৎপল। এ হত্যার ঘটনায় ৩০ জুন জিতুকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: