ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুন নাহার শুক্রবার রাতে এ আদেশ জারি করেন। শনিবার ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
আদেশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২ জুলাই ফুলগাজী শাখার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১ জুলাই) বিকাল ৪টায় উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
“একই সময়ে একই স্থানে উভয় দলের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে। এ অবস্থায় ২ জুলাই ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হল।”
এর আগে ফুলগাজীতে ‘বন্যার্তদের মাঝে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ প্রস্তুতি’ সভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের অভিযোগ, শুক্রবার বিকালে উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় এ হামলায় দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আর ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মজুমদারের ভাষ্য, বিএনপির নেতাকর্মীরা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম কোম্পানির ওপর হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করে। পরবর্তীতে দুই পক্ষের মধ্যে সামান্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ফুলগাজী থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।