এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ী নাছির খান মুন্না শুক্রবার বিকালে নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকতলা এলাকায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নাছির খান মুন্না জেনিস গ্রুপের চেয়ারম্যান।
হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে থাকা পরাজিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহ আলম খান। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরশন নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী আবদুর রহমানের কাছে হেরেছেন তিনি।
শাহ আলম খান ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে দুইবার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। এবারও তিনি দলের সমর্থন পান।
সংবাদ সম্মেলন নাছির খান মুন্না বলেন, “অতীতে মানুষের কথা বলে শাহ আলম খান আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সাহাস্য-সহযোগিতা নিয়েছেন। সেসব টাকাও লুটপাট করেছেন তিনি। আর জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় আমি ২০১৭ সালের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এবারে নির্বাচনে শাহ আলম খান পরাজিত হয়ে এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন – তিনি আমার কারণে ভোটে জিততে পারেননি, যদিও আমি কুমিল্লার ভোটারই না। তার নির্বাচনে এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন সেই টাকা তিনি আমার ভাইয়ের মাধ্যমে আমার কাছে চাঁদা চাইছেন।”
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারও চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও মুন্নার অভিযোগ।
নাছির খান মুন্না আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি বাড়িতে আসি। এসব ঘটনার জের ধরে ওইদিন রাত ৯টার দিকে শাহ আলম খানের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন সন্ত্রাসী পিস্তল, দা-ছেনি, রামদা, রড, লাঠি নিয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে রাখে।”
এতে তার বৃদ্ধ মাসহ পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন; পরে তিনি খবর দিলে পুলিশ ও এলাকার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
হামলায় তার ভাই হান্নান খান মোহন ও এলাকার বাসিন্দা মালেক সর্দার আহত হয়েছেন বলেও মুন্নার অভিযোগ।
এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাহমিদা জেবিন, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান খান পিন্টু, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহ আলম খান বলেন, “এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি আমাদের খান পরিবারের লোক হয়েও প্রতিটি নির্বাচনে আমার বিরোধিতা করেছেন। আর আমি তার কাছে চাঁদা চাইলে তাকে প্রমাণ দিতে বলেন। তিনি এসব কথা বলে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালি থানার ওসি সহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।