বুধবার রাতে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নববধূ দিতি স্থানীয় মুছা মিয়ার মেয়ে; ২৩ জুন উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার রহুল আমিন (২৫) নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
রুহুল আমিন ‘মাদকাসক্ত’ জানিয়ে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘প্রেমঘটিত’ কারণেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
ওসি বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়ি যান। এ সময় রাহেলা দরজা খুলতে বললে দিতি দরজা খুলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই রহুল আমিন বটি নিয়ে দিতির মাথায় সজোরে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন দিতি।“
দিতির চিৎকারে মা মনোয়ারা বেগমসহ বাড়ির অন্যান্যরা এসে দিতিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিতিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।
ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, পুলিশ রহুল আমিনকে কালিনগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রহুল আমিন পুলিশের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান হয়। দিতির বাবা মুছা মিয়া বাদী হয়ে রাতেই রহুল আমিনকে একমাত্র আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।