জরিমানা-বেত্রাঘাত ছাড়াও সালিশে লোকজনের সামনে চা-দোকানি নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হারেজ আহাম্মদ।
হারেজ বলেন, গত ২৩ জুন তার ইউনিয়নে ১৪ বছরের এক কিশোর দোকানে যায় কেনাকাটা করতে। সে সময় পূর্ব বাথানিয়া মুহুরী নদীর কূলের এক চা দোকানি (৫৫) দোকান বন্ধ করে কিশোরকে ধর্ষণ করেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে দোকানের দরজা খুলে হাতেনাতে ধরেন তাকে। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হন দোকানি।
“ঘটনার পাঁচ দিন পর এলাকার প্রভাবশালীরা সালিশের আয়োজন করেন। সালিশ বৈঠকে দোকানি দোষ স্বীকার করেন। তাকে শাস্তি হিসেবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তাকে ১০টি বেত্রাঘাত করা হয়। এ ধরনের কাজ আর করবেন না এই মর্মে দোকানি নাকে খত দেন।”
ইউপি সদস্য হারেজ বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল কিশোরের স্বজনদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। তারা তাতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান। ”
তবে চেয়ারম্যান রফিকুল এ সম্পর্কে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, “আমার নির্দেশে এ ধরনের কোনো সালিশ হয়নি।”
সাজাপ্রাপ্ত দোকানি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দুই পক্ষই গরিব। মামলা হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই সালিশে মীমাংসা করে নিয়েছি।”
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “ধর্ষণের অপরাধ সালিশে দফারফা করার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানার পর আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”