মিজানুর রহমান বুধবার দুপুরে যশোর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার দুই আসামি হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ ও বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজুল ইসলাম।
মিজানুর রহমানের আইনজীবী রিফাত রেজওয়ান সেতু জানান, আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিটি বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজুল ইসলামকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। টাকা দিতে না চাইলে তারা প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজ প্রকৌশলী মিজানুরকে ডেকে ইকবাল কবীর জাহিদের কাছে নিয়ে যান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সেখানে গেলে ইকবাল কবীর জাহিদ একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিজানুরের কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর আজিজও মিজানুরকে চড় থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন। তারা দুজনই প্রাণনাশের হুমকিও দেন।
এদিকে, অধ্যাপক ইকবাল কবীর জাহিদের দাবি, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। ২০১৮ সালে মিজানুরের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে।