তাকে তার স্বামী যৌন পেশায় নিয়োজিত করার চেষ্টায় ছিলেন এমন অভিযোগ রয়েছে বলে জেলার নিকলী থানার ওসি মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ জানিয়েছেন।
গৃহবধূর মৃত্যুর পর পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
তারা হলেন গৃহবধূর স্বামী নিকলী উপজেলার হাফসরদিয়া গ্রামের লাল চান মিয়া (৩১), একই এলাকার রন্টু মিয়া (৪০), নাসিরুদ্দীন (৩৮) ও শরীফ মিয়া (৩২)।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় নয় মাস আগে হাফসরদিয়া গ্রামের লাল চান মিয়ার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লাল চান তার স্ত্রীকে যৌন পেশায় নিয়োজিত করার চেষ্টা চালান। সোমবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে স্বামীসহ ছয়-সাতজন মিলে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
প্রথমে তাকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূর মামা।
ওসি বলেন, গৃহবধূর মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণে জড়িত পাঁচজনের নাম জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে রনি মিয়া ছাড়া বাকি চারজনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। রনিসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
“গৃহবধূকে তার স্বামী যৌন পেশায় নিয়োজিত করার চেষ্টায় ছিলেন এমন অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।”