তাছাড়া কিছু নিচু এলাকায় মঙ্গলবার অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে শুরু করেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদী বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর রাতে তিস্তা নদী ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
তিনি জানান, তিস্তা নদীর গংগাচড়া মহিপুর শেখ হাসিনা তিস্তা ব্রিজে প্রচুর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত সপ্তাহের বন্যার চেয়ে অনেকগুণ বেশি পানি হওয়ার আশঙ্কা আছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে মঙ্গলবার রাত থেকেই পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার রাত থেকে ধরলার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফ উদ দৌলা ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা নদীর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছেন। সংবেদনশীল স্থানগুলোয় নজর রাখছেন। পানি কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে উজানের পানি আর অতিবৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যা দেখা দিলে তলিয়ে যায় উত্তরের কয়েকটি অঞ্চল আর সিলেট বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা। হঠাৎ বন্যায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মানুষ। তার রেশ না কাটতেই উত্তরে তিস্তা-ধরলায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সিলেটে আবার অতিবৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।