আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা ও শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব।
সোমবার শেরপুর সদর থানায় ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই কামাল মিয়ার দায়ের করা মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার রাতে শহরের নবীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় আব্দুল আউয়ালের ওপর হামলা হয়। তিনি এখন ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, শনিবার (২৫ জুন) রাতে শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় মামলার বাদী কামাল মিয়ার ছেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কারিমুল হাসান জিহাদ ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌফিকুর রহমান তারিফের উপর অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। খবর পেয়ে জিহাদের চাচা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের নিয়ে হামলাকারীদের ফেরাতে চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল আউয়াল শেখকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এর জেরে পরদিন রোববার রাত সাড়ে ৮টায় শহরের নবীনগর বাস টার্মিনাল এলাকায় আব্দুল আউয়ালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জিহাদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে গিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা তার অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে গালিগালাজ করতে থাকেন। সে সময় আব্দুল আউয়াল প্রতিবাদ করলে রেজা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে রেজার সঙ্গে থাকা অনুসারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে আহত করেন।
আউয়ালকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেন; পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কামাল মিয়া জানান, মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল থেকে তাকে বেসরকারি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
কামাল মিয়া বলেন, “ঘটনার পর মামলা করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় ঝুঁকিতে রয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এদিকে আমার ভাইও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। কখন কী হয়ে যায় বলা যাচ্ছে না। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি।”
শেরপুর সদর থানার ওসি মনসুর আহাম্মদ বলেন, আহতের বড় ভাই মামলা করেছেন। মামলা গ্রহণের পর থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।