কর্মসংস্থান ও বাসস্থান চান উচ্চশিক্ষিত জন্মান্ধ অঞ্জনা

কুষ্টিয়ার উচ্চশিক্ষিত ও জন্মান্ধ এক নারী সরকারের কাছে কর্মসংস্থান ও বাসস্থান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2022, 03:33 PM
Updated : 28 June 2022, 03:33 PM

মঙ্গলবার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অঞ্জনা রানী হালদার তার জীবনের গল্প শোনান।

মান্দারি হালদার ও ফুলমালা হালদারের মেয়ে অঞ্জনা কুষ্টিয়া পৌর এলাকার বিবি নন্দী সড়কে সরকারি জমির উপরিএকটি পরিত্যক্ত ঘরে বসবাস করেন। 

লিখিত বক্তেব্যে অঞ্জনা বলেন, কুষ্টিয়ার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন ২০১৭ সালে। তিনি কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমী থেকে ৪ বছর মেয়াদী সংগীত শিক্ষায় ডিপ্লোমা কোর্সও সম্পন্ন করেছেন।

জীবনধারণযোগ্য একটা কর্মসংস্থান এবং মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই পেতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন বলে তিনি জানান।

“এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরাসরি প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুরাবস্থা নিরসনের আবেদন করতে চাই।” 

এ সময় অঞ্জনার সঙ্গে প্রতিবেশী রেহানা আহমেদ, অঞ্জনার মা ফুলমালা হালদার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, এডিটরস ফোরামের সভাপতি মজিবুল সেখসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অঞ্জনার মা ফুলমালা হালদার বলেন, শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন অঞ্জনা।

“কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো জন্মান্ধ অঞ্জনার সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়েছে। ন্যূনতম জীবনধারণে এক চিলতে মাথা গোঁজার ঠাঁইসহ একটা কর্মসংস্থানের আবেদন নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মরাদ হোসেন বলেন, জন্মগতভাবেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অঞ্জনা হালদার সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী।

“শিক্ষাজীবন শেষ করে এখন সে একটা কাজের দাবি করছে ভালো কথা। তবে তাকেই বিষয়টি আমাদের কাছে এসে পরিষ্কার করতে হবে যে অঞ্জনা কী ধরনের কাজ করার যোগ্যতা রাখেন। তাহলে ওর সক্ষমতা অনুযায়ী একটা কাজ পাইয়ে দেওয়ার মতো চেষ্টা আমরা সম্মিলিতভাবে করতে পারি।”