‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু আমাদের কাছে মন্দের ভাল’

পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগে দক্ষিণ জনপদের মানুষ উপকৃত হলেও ব্যবসা-বণিজ্যে মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা তেমন লাভবান হবেন বলে মনে করছেন না।

মেহেরপুর প্রতিনিধিতুহিন অরণ্য, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2022, 01:06 PM
Updated : 28 June 2022, 01:06 PM

তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আরিচা-পাটুরিয়া পথে গাড়ির চাপ কমবে। ফলে সহজে ফেরি পার হওয়া যাবে বলে মনে করছেন এ এলাকার ব্যবসায়ীরা।

সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই  দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোর কৃষিপণ্য ব্যবসায়ীয়রা আশা করছিলেন, সেতুপথে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে সময় কম লাগবে। সেতু চালুর পর দেখে গেছে, এসব জেলা থেকে ঢাকায় যাতায়াতে আগের চাইতে সময় অনেক কম লাগছে।

তবে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় অনেক পথ ঘুরে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আগের মতই এসব জেলার মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথেই জোর দিচ্ছেন।

মেহেরপুরের সবজি ব্যবসায়ী আফতাব হোসেন বলেন, “পদ্মা সেতু আমাদের এই জেলার ব্যবসায়ী বা যাত্রীদের তেমন কোনো উপকারে আসবে না। কারণ আমাদের অতিরিক্ত ৬০ থেকে ৮০ মাইল বেশি পথ অতিক্রম করতে হবে।

“ঘাটে যানজট না হলে বা নদীতে ফেরি চলাচলে বিশেষ বিঘ্ন না ঘটলে পদ্মা সেতুর চাইতে সহজে ঢাকা যাওয়া যাবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে।“

তহমিনা রাবেয়া নামে একজন বাসযাত্রী জানান, তার জন্য পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা য়াওয়ার চাইতে পাটুরিয়া-আরিচা ফেরি হয়ে যাতায়াত এখনও অনেক সুবিধার।

“তবে এই অঞ্চলের যারা সরাসরি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট যেতে চান তাদের জন্য পদ্মা সেতু অনেক সাশ্রয়ী পথ।”

মেহেরপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল বলেন, “পদ্মা সেতু মন্দের ভাল আমাদের জন্য। কারণ সেতু চালু হওয়ায় আরিচা-পাটুরিয়া রুটে গাড়ির চাপ কমবে। ফেরির জন্য সবজি বা পণ্য বোঝাই ট্রাককে আর দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না।“

মেহেরপুর বড়বাজার ব্যবয়ায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন মনে করেন, “পদ্মা সেতু হওয়ায় চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট যাওয়া সুবিধা হল। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার জন্য পদ্মা সেতু এই অঞ্চলের মানুষের তেমন কোনো উপকারে আসবে না।

“আরিচা-পাটুরিয়া অংশে সেতু হলে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।”