যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2022, 07:16 AM
Updated : 28 June 2022, 07:16 AM

জেলা আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক সোমবার রাতে অভিযোগটি দিয়েছেন বলে যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান।

তিনি বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এতে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু (৪৫), লোন অফিস পাড়ার আশিকুর রহমান বাঁধন (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কাজীপাড়া তেতুঁলতলা এলাকার রওশন ইকবাল শাহী (৩২), কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার বাবুল (৪৫), রেলগেইট তেতুঁলতলা এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমিদ হুদা বিজয় (২৫), কাঁঠালতলা বটতলা এলাকার তাপস (৩৫), কাজীপাড়া মনিকতলা এলাকার নুর নবী (৪০) এবং ছাত্রলীগের শহর শাখার আহ্বায়ক কাজীপাড়ার মেহেদী হাসান রনি (৩০)। 

এর মধ্যে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই।

অভিযোগে মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। আসামি তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু একটি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই হওয়ার সুবাদে নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করে বেড়ান। অন্য আসামিরা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর সহযোগী। ফন্টুর এসব কার্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় তিনি তাকে হত্যার পাঁয়তারা করে আসছেন।

“রোববার রাত আড়াইটার দিকে দুইটি গাড়িতে (যার মধ্যে একটি ডার্ক ব্লু, নম্বর- ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৩-৯৮৯২) করে আসামিরা তার বাড়ির সামনে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি ঘর থেকে বাইরে এলে ফন্টু তাকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেন। বলেন, খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে।”

অভিযোগে আরও বলা হয়, কিছুক্ষণ পর ফের দুইটি গাড়ি তার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় এবং তাকে শাসিয়ে চলে যায়। তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে হুমকিদাতারা চলে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু বলেন, “বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমি জানি না। একটি মাছের ঘের দখল চেষ্টার প্রতিবাদ করায় এ রকম অপ্রচার করছেন মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী।“

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী বলেন, “আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসাই চিনি না।”

তবে ওই রাতে শহরে থাকার কথা জানিয়ে শাহী বলেন, রাতে খালধার রোডে তার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।