‘পুলিশের চাঁদাবাজি’: আশুলিয়ায় অটোরিকশা-ভ্যান চালকদের অবরোধ, সংঘর্ষ

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হাইওয়ে ‘পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে; এতে কয়েকজন আহত হয়েছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2022, 12:13 PM
Updated : 27 June 2022, 12:13 PM

সোমবার সকালে নবীনগর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান।

এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে গরমের মধ্যে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এতে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা বিক্ষোভ নিয়ে পলাশবাড়ী এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পরে দুই শতাধিক চালক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ ও পলাশবাড়ী এলাকার মাঝামাঝি স্থানে সড়ক অবরোধ করে দেয়। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও টায়ার পুড়িয়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকে।

পুলিশ এসে বাধা দিলে চালকরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ প্রতিহত করতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।  

অটোরিকশার চালক মো. জিল্লুর রহমান অভিযোগ করেন, “আমরা গরিব মানুষ। হাইওয়ে পুলিশ আমাদের রিকশা ধরে টাকা নেয়। সপ্তাহে কোনো কোনো রিকশা ৩-৪ দিন ধরে আটকে রাখে। আমরা কী করে খাব?”

চালক কবির হোসেন বলেন, “রেকার বিলের দোহায় দিয়ে রিকশা ধরে নিয়ে যায় হাইওয়ে থানায়। তিন থেকে পাঁচ হাজার ২০০ টাকা বিল করে৷ পুরো টাকা দিলে স্লিপ দেয় আর টাকা কিছু কম দিলে স্লিপ ছাড়াই রিকশা দেয়।

“মাঝেমধ্যে টাকা দিতে না পারলে রিকশা আর ফেরত পাই না। থানাতেও সেই রিকশা দেখা যায় না। তাদেরই দালাল মারফত রিকশা বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।”

একই ধরনের অভিযোগ করেন বিক্ষোভে থাকা ভ্যানচালক সোলেমানসহ কয়েকজন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “অটোরিকশা চালকরা কারো মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। আমাদের টিম কাজ করছে। এটি চাঁদাবাজির বিষয় না।”

“মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার স্লিপ তাদের দেওয়া হয়। তাছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার জরিমানা পরিশোধ করে রিকশা নিতে হয়। এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত।”

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “রিকশা চালকদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমাদের কাছে আসবে, অভিযোগ দেবে- আমরা ব্যবস্থা নেব। আজকের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। পরে চালকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”