সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কনোপাড়া গ্রাম থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগের বরাতে বলেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।
আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দিন (৫৮) উপজেলার কনোপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি গোয়াকান্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। প্রায় দুই দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শামসুদ্দিন একজন মাছের খামারিও।
শামসুদ্দিনের ছেলে বলেন, সকালে কনোপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশে নিজের পান বরজে কাজ করছিলেন তার বাবা। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া দুইজন লোক সেখানে যায়। এর কিছুক্ষণ পর অস্ত্র বের করে ভয় দেখিয়ে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে হেলমেট পড়ানো হয়। পরে তাকে নিয়ে তাহেরপুরের দিকে চলে যায়। এরপর থেকে শামসুদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
মিজানুর রহমান রাজু বলেন, “গত বছর যশের বিলে একটি পুকুর খনন করা হয়। এই পুকুর খননে আব্বার ব্যবসায়িক সহযোগী ছিলেন তাহেরপুরের রফিকুল ইসলাম রফিক। সম্প্রতি তার সঙ্গে হিসাব ও লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা হয়।“
তিনি আরও বলেন, রফিক তার বাবার কাছে অতিরিক্ত সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। এ টাকার জন্য রফিক ও তার লোকজন ভয়-ভীতিও দেখাচ্ছিল। তাদের ভয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাহেরপুর হাটে যাওয়াও বন্ধ করে দেন তার বাবা।
এ কারণে শামসুদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে ধারণা ছেলের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, “সব বিষয় আমলে নিয়ে পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে নিখোঁজ ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।”