শনিবার ও রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বালুচর, খাসপাড়ার প্রায় পাঁচশো বন্যার্ত পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয় বলে জানান ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান।
অধ্যাপক মেহেদী পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণ বিতরণকারী দলের পরিচালক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
দলের অন্যরা হলেন পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিদ হাসান জিসান, আবদুল্লাহ, আল মৃদুল, এহসান কবির জিম, নবীন কুমার সরকার (সৃজন), খাইরুল ইসলাম ও তৌহিদুল রহমান শাওন।
এসব কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও। শিক্ষালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা আর শিক্ষার্থীরা সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
অধ্যাপক মেহেদী জানান, সিলেট বিভাগের বন্যার্তদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা এক লাখ ছেষট্টি হাজার চারশ একানব্বই টাকা সংগ্রহ করতে পারেন।
"সংগৃহীত অর্থ দিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, বালুচর, খাসপাড়ার প্রায় পাঁচশ পরিবারের প্রতিটিকে চার কেজি করে চাল, আধা কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, আধা কেজি পেঁয়াজ, সরিষার তেল আর ওষুধ দেওয়া হয়েছে।"
কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, "বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করেছে। তারা সূদুর পটুয়াখালী থেকে সিলেটে এসে বৃষ্টিতে ভিজে সারাদিন পরিশ্রম করে বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে।"
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী তারা হলেন মোফাসসেল হক, আজিজুল ইসলাম সীমান্ত, মেহেদী হাসান শুভ, নুরিন, অলক এবং শুভ।
অধ্যাপক মেহেদী বলেন, “তারা সবসময় আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। এছাড়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও পবিপ্রবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই সার্বিকভাবে আমাদরকে সহযোগিতা করার জন্য।”
সমাজের বিত্তশালী ও অবস্থাসম্পন্ন যারা আছেন তাদেরকে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।