গত ৫ জুন রাতে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের উত্তর গোপাল রায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহত সেকেন্দার আলী (৪৯) ওই গ্রামের মৃত নছর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুল জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার আদালতের নির্দেশে কালীগঞ্জ থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ভ্যান চালক সেকেন্দার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তিনি প্রতিবেশী আব্দুর জব্বারের ছেলে স মিল মিস্ত্রী জাহেদুল ইসলামের কাছে গাছ পরিবহন বাবদ ভাড়ার টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকার চাইতে গেলে স্থানীয় সুকানদিঘী বাজারে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে।
গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাজারের কাজ শেষে ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সেকেন্দার আলী। বাড়ির পাশে পৌঁছলে জাহেদুল ইসলাম ও তার তিন ভাইসহ পরিবারের লোকজন সেকেন্দারকে গাছের ডাল আর লাঠি দিয়ে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করেন।
এ সময় তার আর্ত চিৎকারে স্ত্রী ও মেয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা গিয়ে হামলাকারীদের কবল থেকে সেকেন্দারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এই মারধরের একটি ঘটনার একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আর্জিনা বেগম জানান, আট দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে তিনি (আর্জিনা) মামলা করেছেন। এ মামলায় আসামি করা হয় জাহেদুল ইসলামসহ তার পরিবারের ৬ জনকে।
“আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে কালীগঞ্জ থানাকে নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। শুক্রবার মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম রসুল বলেন, “অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিওটি দেখেই আমি তাৎক্ষণিক হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে অফিসার নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। থানায় মামলা নিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু বাদী অন্যের কথায় আদালতে মামলা করেছেন।”
হামলাকারীদের গ্রেপ্তরের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।