শুক্রবার রাতে বিচারিক হাকিম নুর ই জাহিদ তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন বলে আদালত পরিদর্শক খন্দকার মো. শহিদুল হক জানান।
গ্রেপ্তার মিন্টু মিয়া শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল গ্রামে মিন্টুর স্ত্রী ও শাশুড়িসহ তিন জনকে হত্যা করা হয়।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ মিন্টুকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই মিন্টুর স্ত্রীর ছোট বোন থানায় মামলা করেন।
শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে মিন্টু এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। বোরকা পরে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে দা দিয়ে ছয় জনকে কোপান। এরমধ্যে তার স্ত্রী মনিরা বেগম (৪০), মনিরার মা শেফালী বেগম (৬০) ও মনিরার চাচা নূর মোহাম্মদ ওরফে মাহমুদ হাজী (৬৫) নিহত হন।
“আহত হন মনিরার বাবা মনু মিয়া (৭৫), ভাই শাহাদাৎ হোসেন (৪০) এবং তাদের আত্মীয় বাচ্চুনী বেগম (৫২)। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
ওসি বলেন, মনিরার ছোট বোন মিনারা বেগম মিন্টু মিয়াসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মিন্টুর স্বীকারোক্তি পাওয়ায় মামলাটির প্রতিবেদন দ্রুত দেওয়া যাবে।
প্রায় ১৭ বছর আগে খোশালপুর পুটল গ্রামের মনু মিয়ার মেয়ে মনিরার সঙ্গে মিন্টুর বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মনিরার স্বজনরা জানান, মিন্টু বেশ কিছুদিন ধরে বেকার থাকায় স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ওই কলহের জেরে গত রোজার শুরুতে বাবার বাড়ি চলে যান মনিরা। কিছুদিন পর মিন্টু তাকে ফিরিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ি গেলেও মনিরা যাননি।
আরও পড়ুন: