এছাড়া পানির স্রোতে জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে কাজ করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও কাজিপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার কমে ৫৬ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকরাজ্জামান জানান, বন্যায় জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবারের ৪১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ১৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফীউল্লাহ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জানান, বন্যার কারণে জেলার নদী তীরবর্তী ও নিচু এলাকায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।