পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, গাইবান্ধায় ১২৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় গাইবান্ধার চার উপজেলার ১২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2022, 01:48 PM
Updated : 21 June 2022, 01:48 PM

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত আলী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী মঙ্গলবার এ তথ্য দেন।

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে।

সরকারি হিসাবে জেলার চারটি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার মানুষ। 

সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চরপিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে ও টিনশেড বিদ্যালয়টির চারিদিকে হাঁটু পানি।

এলাকাবাসী জানায়, নদী ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি কয়েকবার স্থানান্তর করা হয়। তাই টিনশেড ঘরে পাঠদান চলে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত আলী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় শনিবার (১৮ জুন) থেকে জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আপাতত গাইবান্ধায় বড় বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ওই চারটি উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এক হাজার ৯০০ জন বন্যাকবলিত মানুষ বসবাস করছেন।