মঙ্গলবার বিকালে র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ হোসেন (২৭) উপজেলার ছলির বাজার এলাকার বসু মিয়ার ছেলে।
যোগাযোগ করা হলে র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আখের মুহম্মদ জয় বলেন, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে নিখোঁজ হন আরিফের সাবেক স্ত্রী (২২)। পরে তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে আসে।
এ ঘটনায় তার বাবা ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আরিফসহ দুজনকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। মামলার দুই বছরেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় সম্প্রতি নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বিচার দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। বিষয়টি র্যাবের নজরে এলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে র্যাবের ভাষ্য।
কমান্ডার জানান, আনুমানিক ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে তাদের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে ২০২০ সালে বিচ্ছেদ হলেও যোগাযোগ ছিল তাদের মধ্যে। ঘটনার দিন রাতে রোকসানাকে নিজ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আরিফ; পরে লাশ রেখে পালিয়ে যান।