স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান।
রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান তিনি।
দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমানের দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে বরখাস্তকৃত মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমার কাজকর্ম সমস্ত কিছু দৃশ্যমান। ৪০ বছরের রাজনীতিতে তিন বার মেয়র হয়েছি। আমার দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার মনোনয়ন আটকানোর জন্য নির্বাচনের আগে কিছু অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পেলেও আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।”
মোখলেছুর রহমান জানান, ২০১৯ সালে স্থানীয় পৌর এলাকার বাসিন্দারা দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে দুদক অভিযোগগুলো স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে তা প্রেরণ করে।
“মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু অভিযোগের প্রমাণ মেলে। তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ এপ্রিল আমি মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে তাকে বরখাস্ত করা হয়।”
গত বছরের জানুয়ারিতে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ তৃতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হোন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।