সোমবার সকালে মাছগুলো সাদেক হালদার, সাঈদ হালদার এবং এরশাদ মন্ডল হালদারের জালে আটকা পড়ে।
মাছগুলো ৯৭ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানান গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান।
জেলে সাদেক হালদার জানান, সোমবার ভোর রাতের দিকে তিনিসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যান। দীর্ঘক্ষণ কোনো মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে যান এক পর্যায়ে। পরে যখন তারা বাড়ি ফিরে যাওয়ার মনস্থির করেন তখন শেষবারের মতো মনে করে নদীতে জাল ফেলেন।
পরে সকাল ৯টার দিকে বিক্রির জন্য মাছ দুটি দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আড়তদার আনোয়ার খাঁর ঘরে নিয়ে যান বলে জানান।
“সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ মাছ দুটি কিনে নেন।”
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার খাঁর আড়ত থেকে নিলামে অংশ নিয়ে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে দুটি বাঘাআইড় মাছ মোট ৪৪ হাজার টাকায় কিনে নেন। একটি মাছের ওজন সাড়ে ১৯ কেজি ও আরেকটি সাড়ে ২০ কেজি।
পরে ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক ব্যাবসায়ীর কাছে মাছ দুটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।
চান্দু মোল্লা বলেন, ১২ কেজির বোয়াল মাছটি সকালে দৌলতদিয়া রওশন মোল্লার আড়ত থেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৮শ টাকা দরে মোট ২১ হাজার ৬শ টাকায় ক্রয় করেন এবং ১৯ কেজির পাঙ্গাশ মাছটি দুলাল মন্ডলের আড়ত থেকে ১৩৫০টাকা কেজি দরে মোট ২৫ হাজার ৬৫০ টাকা কিনে নেন। পরে পাঙ্গাশ মাছটি ১৪৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে মোট ২৭ হাজার ৫৫০ টাকায় ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে পদ্মায় যেসব বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে এসব মাছ গভীর জলে বসবাস করে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে এসব মাছ খাবারের সন্ধানে উপরে চলে আসছে। যার ফলে মাঝে মধ্যেই জেলের জালে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাঘাআইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলের জালে ধরা পড়ছে। এছাড়াও বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে এসব মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়।