দিনটিকে সামনে রেখে জেলা ও মহানগর পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
উদ্বোধনী দিনের কর্মসূচি নিয়ে সোমবার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
সভায় জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার জানান, নগরীসহ ১০টি উপজেলায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে। সেতুর উদ্বোধনী দিন স্মরণ রাখার মতো উৎসব করা হবে। ওই দিন নগরীতে সকাল ৯টায় র্যালি বের করা হবে। নগরীর বাধ রোড জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
পদ্মা সেতুর আদলে সেতু তৈরি করা হবে। স্থানীয় পত্রিকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করা হবে। ২৭ জুন পর্যন্ত বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন, রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে পথনাটক ও পথসংগীতসহ ব্যতিক্রমী সব আয়োজন নিয়ে সাজানো হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব।
সভার প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিন ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জিলা স্কুল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল স্থানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সভায় তিনি বলেন, “দক্ষিণাঞ্চলের রাজধানী বরিশাল। তাই বরিশালের আয়োজন ব্যতিক্রম ও স্মরণ রাখার মতো হতে হবে।”
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, “নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেক পোস্ট স্থাপন করে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ছাড়া নগরীর আবাসিক হোটেল, ছাত্র মেসে তল্লাশিসহ সন্দেহভাজনদের নজরে রাখা হয়েছে।”
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে সেই জন্য দিনভর তল্লাশি অভিযান করা হয়েছে। তার থানার মধ্যে ৫১টি ছাত্র মেস নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও যানাবাহন এবং ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়েছে। এ কার্যক্রম পরিবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বরিশাল বিভাগ থেকে ১ লাখ মানুষ সমাগমের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সড়ক পথ ছাড়াও বরিশাল বিভাগ থেকে ৬০টি লঞ্চে দলের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে যাবেন।
বরিশাল নৌ-বন্দর ও বিভাগের প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে এসব লঞ্চ ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যোগ দিতে বরিশাল বিভাগ থেকে ১ লাখ মানুষ যাবে। সে লক্ষ্যে ৩ থেকে ৪ তলাবিশিষ্ট ৬০ টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল নৌ বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে ১০টি লঞ্চ। বাকিগুলো বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছেড়ে যাবে। প্রত্যেক উপজেলা থেকে সর্বনিম্ন একটি থেকে ৪টি পর্যন্ত লঞ্চ ছাড়া হবে।
তিনি বলেন, “আগামী ২৪ জুন রাত ১০টায় লঞ্চ সমাবেশস্থলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া শুরু করা হবে। আশা করছি আমরা স্বচ্ছন্দে ও নিরাপদে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আবার যার যার ঘরে ফিরতে পারব।”