কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সোমবার বলেন, “বন্যার কারণে দুটি উপজেলার ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই ১৫ গ্রামে ১০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। পানি কমে গেলেই আবার বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে।”
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, চৌগাংগা ও নিয়ামতপুর অফিসের অধীন শান্তিপুর, চারিতলা, বালিয়াপাড়া, খাকশ্রী, সুতারপাড়া, বালিখলা, পাঁচকাহনিয়া, বড়িবাড়ি, এনসইলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক, টিয়ারকোনা, চং নোয়াগাঁও এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, শনিবার থেকে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ পর্যন্ত জেলার আট উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্তদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ১৪০ মেট্রিক টন চাল, আড়াই লাখ টাকা সহায়তাসহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে অতিরিক্ত আরও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার সবকটি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে চার হাজার ৮৯৬ জন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। তাদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ২৬৫টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। সব মিলিয়ে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, হাওরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি শনিবার রাতে তিন ফুট বাড়লেও রোববার পানি বৃদ্ধির হার ছিল কম। তবে পানি বেড়ে যাওয়া অব্যাহত থাকলে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: