জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৫ জুন ও ২৬ জুন এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিন সকালে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে দেশবরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। পরদিন পদ্মা সেতু নিয়ে কবিতা, গল্প ও ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকালেও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, “পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের বিষয়। বাঙালি জাতির অহংকার এই পদ্মা সেতু। এজন্য পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসব পালনের জন্য ফরিদপুরে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সেদিন সকালে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে র্যালিটি ফরিদপুরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে সমবেত হবে। এখানে সকলে মিলে সরাসরি সম্প্রচার করা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনবেন। ফরিদপুরের স্টেডিয়ামে এজন্য পদ্মা সেতুর একটি বড় রেপ্লিকা তৈরি করা হবে।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী উৎসবকে সফল করতে ফরিদপুরের রাজনীতিবিদ এবং কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সারাদেশ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবে যেভাবে মেতেছে, ফরিদপুর সেই উৎসবে শামিল হতে সেভাবেই সেজেছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ বলেন, “পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ফরিদপুরকে বর্ণিল ভাবে সাজানো হয়েছে। ফরিদপুরের সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানা ভবনগুলো আলোকসজ্জা করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে বরণ করে আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।”
ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ ঘোষ বলেন, “শহরের টেপাখোলা মোড় হতে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত সাতটি তোড়ণ নির্মাণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বপ্নের পদ্মা নির্মাণ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে ফরিদপুরের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।”