রোববার রাতে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান এ কথা জানিয়েছেন।
সরেজমিন রোববার রাত ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের সারি রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। প্রতিটা পণ্যবাহী ট্রাককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন চালক ও তার সহযোগীরা।
যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসা কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক চালক মো. হাসান বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সিরিয়ালে আটকে আছি। এখন রাত ৯টা বাজলেও ফেরির দেখা নেই। ফেরিতে উঠতে আরও দুই ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।”
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী গোলাম মোস্তফা বলেন, “ঘাটে জ্যাম থাকলেও যাত্রীবাহী পরিবহনের তেমন জ্যাম নেই। রাত ৮টার দিকে ঘাটে এসেছি। ফেরিতে উঠতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে। কয়েক জনের কাছে শুনেছি নদীতে পানি বাড়ায় স্রোতে ফেরি চলতে পারছে না; যে কারণে জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে।”
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্রোতের কারণে ফেরির ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে ঘাটে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ২০টি ফেরির মধ্যে চারটি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় মেরামতে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৬টি ফেরি চলাচল করছিল। দুপুরের পর এই রুটে ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।