গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান।
হাওরের ওপর প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় তিন ফুট বেড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রোববার থেকে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে জেলার হাওর উপজেলা হিসাবে পরিচিত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, তাড়াইল ও নিকলী উপজেলার মানুষ।
সেখানকার বাসিন্দারা জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলাগুলোর কয়েক বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। গবাদিপশুসহ মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
ইটনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার বলেন, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার লোকজন ইটনা সদরে অবস্থিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, “সিলেট ও সুনামগঞ্জে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এভাবে বৃষ্টি হলে নিকলী উপজেলার অনেক এলাকাতেও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।”
অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “তবে অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। সদর ইউনিয়নের ৪০-৫০টি বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। অন্যান্য ইউনিয়নে এখনও পানি ঢোকেনি।”
তবে বন্যা পরিস্থিতিতে অষ্টগ্রামের অবস্থা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এখনোও ভালো বলে দাবি তার।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, যেসব এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে, সেখানকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪০ টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।