সংস্কৃতি খাতে বাজেটের ১ শতাংশ বরাদ্দ দাবি

সংস্কৃতি খাতে বাজেটের এক শতাংশ বরাদ্দসহ আট দফা দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতাকর্মীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2022, 03:03 PM
Updated : 18 June 2022, 03:03 PM

শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন জেলা শহরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

জোটের গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে, বিস্তার ঘটাতে হলে অর্থায়ন করতে হবে। এবারের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে যে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তিনি সংস্কৃতি খাতে বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানান।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে সরকারের বরাদ্দ ৬৩৭ কোটি টাকা। এটি মূল বাজেটের শূন্য দশমিক ০৯৪ শতাংশ। সমাবেশে বক্তারা তা এক শতাংশ করার দাবি জানান।

আট দফা দাবি হল- ১. সংস্কৃতিকে জাতির মনন বিকাশের সোপান বিবেচনা করে জাতীয় বাজেটের এক শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ, ২. প্রত্যেক উপজেলায় ৫০০ আসনের ও ঢাকা মহানগরে পাঁচ লাখ নাগরিকের জন্য আধুনিক মিলনায়তন নির্মাণ, ৩. সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক ফেডারেশনগুলোর জন্য স্থায়ী দপ্তর নির্মাণের জন্য মতিঝিলের ক্রীড়া পল্লীর অনুরূপ জায়গা বরাদ্দ, ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানীয় সাংকৃতিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করা, ৫. সংস্কৃতিকর্মীদের আবাসনের জন্য সংস্কৃতিপল্লী নির্মাণ, ৬. শিক্ষা কার্যক্রমে সংস্কৃতিকে অন্তর্ভুক্ত ও সংস্কৃতি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু, ৭. উপজেলা পর্যায়ে একজন করে শিল্পকলা কর্মকর্তা নিয়োগ, ৮. প্রত্যেক জেলায় চারুকলা প্রদর্শনীর জন্য আর্ট গ্যালারি, সল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর জন্য মিনি অডিটোরিরাম নির্মাণ।

গোপালগঞ্জের এ কর্মসূচিতে জোটের গোপালগঞ্জ শাখার সহ-সভাপতি রাখাল কিশোর ঠাকুর, দুলাল দাস, সাধারণ সম্পাদক গাজী মুস্তাফিজুর রহমান দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরুজ দাস গোপাল, সাগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী মাহাবুবুর রহমান, গোপালগঞ্জ থিয়েটারের সভাপতি শেখ আব্দুস সবুর, সহ-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পী ও কলাকুশলীরা ছিলেন।

চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে কর্মসূচিতে যোগ দেয় চাঁদপুরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে যোগ দেন জেলার সংগীত নিকেতন চাঁদপুর ড্রামা, নৃত্যাংঙ্গন, সপ্তসুর সংগীত একাডেমি, সপ্তরুপা নৃত্য শিক্ষালয়, নৃত্যধারা, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাউল শিল্পী গোষ্ঠী, সুরধ্বনি সংগীত একাডেমি, নৃত্যধারাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাট্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তি শিল্পী ও চারুকলা শিল্পীরা।

কর্মসূচিতে জোটের চাঁদপুর শাখার সভাপতি তপন সরকার, জেলার স্বরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি এম আর ইসলাম বাবু, সাংস্কৃতিক সংগঠক অজর কুমার ভৌমিক, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সহাসচিব হারুন আল রশিদ, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেন গুপ্ত, সপ্তসুর সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ রুপালী চম্পক, সুরধ্বনি সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, নবজাগরণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমির জোসেন বাপ্পী, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন কর্মসূচিতে যোগ দেন।

বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় একই কর্মসূচি পালন করা হয় বেলা ১১ টার দিকে। এতে যোগ দেন জোটের বগুড়া শাখার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, জ্যেষ্ঠ সহ-ভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু, সহ-সভাপতি এটিএম জিয়াউল হক বাবলা, আসাদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান মানিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ রবিউল আলম মজনু ও প্রচার সম্পাদক লুবনা জাহান। এছাড়াও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি জয়ন্ত দেব, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশন রাজশাহী বিভাগের কার্যনির্বাহী সদস্য নিভা রানী, রাকিবুল ইসলাম, ফজলে রাব্বী, আব্দুল বাছেদ, মাহবুব হাসান সোহাগ, তাপসী দে, মতিয়ার রহমান, ও্যারেছ ভুট্টু, আব্দুল আউয়াল এবং অনুপ কুমার দাস সুবল।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চাঁদপুর, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি]