তলিয়েছে লাইন, ভেঙেছে সেতু, নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ রেল বন্ধ

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে রেললাইনের কিছু অংশ তলিয়ে যাওয়ায় এবং একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নেত্রকোণা থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2022, 08:50 AM
Updated : 18 June 2022, 08:50 AM

নেত্রকোণা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান শনিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঢলের পানি বেড়ে নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ রেললাইনের কিছু অংশ ডুবে গেছে। এ কারণে শনিবার সকালের আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।“

বারহাট্টা উপজেলার অতীতপুর স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশের রেললাইন এখন পানির নীচে।

স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক আরও বলেন, ২৬২ নম্বর লোকাল ট্রেন মোহনগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে না পেরে বারহাট্টা থেকে ঘুরিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে।

একই রেলপথের বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের ইসলামপুরে একটি রেলসেতু বন্যার পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ সকাল ৮টার দিকে ইসলামপুরের কাছে ৩৪ নাম্বার রেলসেতুটির কিছু অংশ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আন্তঃনগর ‘হাওর এক্সপ্রেস’ আজ মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি।”

জেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।

এদিকে জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হয় বলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান।

তিনি শুক্রবার বলেন, বারহাট্টার একাংশ প্লাবিত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কতগুলো ইউনিয়নে কতজন মানুষ পানিবন্দি হয়েছে তার হিসাব এখনও করা যায়নি। তবে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

অঞ্জনা আরও বলেন, “টানা বৃষ্টির ফলে জেলার সবগুলো নদ নদীর পানি বেড়ে চলেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর বৃষ্টি কমে গেলে বিশেষ করে দুর্গাপুর উপজেলার পানি দ্রুত নেমে যাবে।”