পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাজিপুর পয়েন্টের পানি পরিমাপক ওমর আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি কাজিপুর পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।”
পাউবো সিরাজগঞ্জ পয়েন্টের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, “শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এখন পানি বিপৎসীমার মাত্র এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।“
যমুনা নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকলে নিচু এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙনসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাউবো প্রস্তুত রয়েছে বলে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন।
এসব এলাকার ফসলি জমি পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা।
কাজিপুরের তেকানী ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, “চরাঞ্চলের আবাদি জমি ও মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন।”
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া মুন্সী বলেন, “চরের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়েছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িগুলোতেও পানি উঠবে।”