নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত জানান, শুক্রবার জেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার, উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ও ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও জেলার সবকয়টি নদ নদীর পানি হু হু করে বেড়ে চলেছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন।
এদিকে শুক্রবার ভোর থেকে জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্রা উপজেলায় বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হয় বলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান।
তিনি বলেন, বারহাট্টার একাংশ প্লাবিত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কতগুলো ইউনিয়নে কতজন মানুষ পানিবন্দী হয়েছে তার হিসেব এখনও করা যায়নি। তবে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা কবলিতদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক বলেন, আপাতত প্রশাসন এসব মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ৫০ মেট্রিকটন চাউল, ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় ২০ মেট্রিকটন করে চাউল, ২০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার ও ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দে্ওয়া হয়। এছাড়া বারহাট্টায় ১০ মেট্রিকটন চাল ও ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা জানান।
অঞ্জনা বলেন, “টানা বৃষ্টির ফলে জেলার সবগুলো নদ নদীর পানি বেড়ে চলেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আর বৃষ্টি কমে গেলে বিশেষ করে দুর্গাপুর উপজেলার পানি দ্রুত নেমে যাবে।”