তিনি বলেন, “পরাজিত প্রার্থী চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে নতুন করে ফলাফল দেওয়া সম্ভব নয়। ফল ঘোষণার সময় তারা কেন অভিযোগ জানাননি। কারণ তাদের হাতে তো রেজাল্ট শিট ছিল।”
বুধবার দিনভর ইভিএমে ভোট শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছিল।
রাত ৯টার দিকে ১০৫ কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পরও সাক্কু তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিফাতের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এ সময় দুইবারের মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে আসেন।
এ সময় রিফাতের সমর্থকরা সেখানে তুমুল হট্টগোল ও স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয়। তখন বেশ কিছু সময় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ থাকে। এ নিয়ে তখন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাক্কু। তিনি বাকি চার কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার জন্য চাপ দেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
একদিন বাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলে সাংবাদিকরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
আধা ঘণ্টার বেশি কেন ভোটের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটার পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল না। পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল বিধায় সময় লেগেছে। দুই পক্ষই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।”
ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ও গোলযোগের কারণে চারটি কেন্দ্রের ফল আসতে দেরি হয়েছে উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারদের ফল তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে।”
ওই সময় বারবার কার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হচ্ছিল- জানতে চাইলে শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, “তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তখন আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে কথা বলছিলাম।”
নির্বাচনের ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। রিফাত ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন