বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শহীদুল আলম সরকার বাদী হয়ে এই ছয়টি মামলা দায়ের করেন।
শহীদুল আলম সরকার মামলাটি তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাবনা জেলার সাবেক বিপণন কর্মকর্তা (বর্তমানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, দিনাজপুরে কর্মরত) হুমায়ুন কবীর, ঠিকাদার পাবনা শহরের ছাতিয়ানী এলাকার আওয়াল হাজীর তিন ছেলে এ এইচ এম রেজাউন, এ এইচ এম আরেফিন ও এ এইচ এম ফয়সল। এদের মধ্যে এ এইচ এম আরেফিন পাবনা পৌরসভার নির্বাচিত কাউন্সিলর।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস, জেলার সাবেক বিপণন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর, ঠিকাদার এ এইচ এম রেজাউন, এ এইচ এম আরেফিন ও এ এইচ এম ফয়সল যোগসাজশ করে নিধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনে ৮৮ লাখ ৩ হাজার ৭৬২ টাকা আত্মসাৎ করেন।
মামলা করার আগে দুর্নীতি দমন কমিশন দীর্ঘ অনুসন্ধান চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী শহীদুল আলম সরকার বলেন, মামলাটি দুদক নিজেই তদন্ত করবে। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দুদক মামলা করেছে।
মামলার আসামিদের একজন এ এইচ এম রেজাউন বলেন, “মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এর আগে দুদক ডেকেছিল; আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। আমাদের কোনো দোষ নেই।”
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা হবে।