বিএনপি ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া গত দুইবারের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে উপস্থিত হলে প্রায় একই সময়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতে শখানেক সমর্থক। তবে রিফাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এই উত্তেজনার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা থমকে যায়। এক পর্যায়ে ফল ঘোষণা কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নেওয়া বিপুল সংখ্যক পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বেশ কিছু নৌকার সমর্থককে বের করে দেয়।
এ সময় সাক্কু বলেন, “আমি রেজাল্ট না নিয়ে এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে লাশ যাবে।”
ফল ঘোষণায় দেরিতে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “আর চারটা কেন্দ্র বাকি আছে, দেন না কেন?”
বুধবার দিনভর ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা চলছে।
রাত ৯টা পর্যন্ত ১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হয়। তাতে ৬২৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু।
১০১ কেন্দ্রে মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পান ৪৮ হাজার ৪৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী রিফাত পান ৪৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
বিদায়ী মেয়র সাক্কু বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার মতোই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামেন কায়সার।
আওয়ামী লীগ নেতা রিফাত দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েই প্রার্থী হন।