মঙ্গলবার দুপুরে মধুমতী নদীর ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়ে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাজড়া চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটির নতুন ভবন তৈরি করা হয় ২০১২ সালে। ৬৫ জন ছাত্রছাত্রী প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে এখানে। দুপুরে স্কুল ভবন কেঁপে উঠলে ছাত্রছাত্রীরা জানতে চায় স্কুলটি নদীতে গেলে তারা কোথায় পড়াশুনা করবে।
“এই শিশুদের দিকে তাকিয়ে স্কুলটি রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”
অভিযোগ উঠেছে, সময়মত পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “এক সপ্তাহ কাজ শুরু করলে স্কুলটি ভাঙনের মুখে পড়ত না। এখানে অনেক গাফিলতি রয়েছে। যেখানে একশ শ্রমিক লাগবে সেখানে পাঁচজন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এখন সেখানে বালিভর্তি ছয় মিটার লম্বা জিও টিউব ও ১৭৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে স্কুলটি রক্ষা পাবে।”
কাজে ধীরগতির অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করেন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা।
তিনি বলেন, এখনও সেখানে ভাঙন তীব্র হয়নি। ভাঙনরোধে সাড়ে সাত কিলোমিটার তীরজুড়ে প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প প্রি-একনেকে পাস হয়েছে। এখন সেটি বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়ের অপেক্ষায়। প্রকল্পটি পাস হলে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।