সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ শামসুদ্দোহা বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা চার সেন্টিমিটার নিচে ছিল।
এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হয়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়কেও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। জামালগঞ্জ-কাঠইর সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত ১৩ জুন তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা ডুবন্ত সড়ক প্লাবিত হয়েছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় আবার পানি নেমে যায়। বুধবার আবার সড়কটি প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে পানি দ্রুত বাড়ছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বন্যা মোকাবেলায় তাদের রয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ২০ টন করে চাল পাঠানো হয়েছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের মজুদ রয়েছে।
আরও কয়েকদিন বৃষ্টি থাকবে বলে সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইদুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: