ভোটের সকালে কোনো ঝামেলা হল কি না খোঁজ নিতে এগিয়ে যেতেই একজন প্রশ্ন করলেন- “লোক লাগবে?”
বোঝা গেল তারা দিনমজুর, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। বুধবার কুমিল্লাবাসী যখন ভোটের উৎসবে মেতেছে, সেসময় এই শ্রমজীবী মানুষেরা বেরিয়েছেন কাজের খোঁজে।
তাদের কারও কাঁধে কোদাল, বেলচা কিংবা টুকরি। কাকডাকা ভোরে তারা কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন, কিন্তু সকাল ৭টা পর্যন্ত তারা কাজ পাননি।
ভোটার কিনা জানতে চাওয়ায় ৫০ বছর বয়সী একজন ‘না’ সূচক জবাব দিলেন। তিনি কথা বলছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায়।
মকবুল নামের ওই ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের সবার বাড়ি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কুমিল্লায় তারা থাকেন চকবাজার, রাম দিঘীর পাড়, বিষ্ণুপুর আর ছোটরা চৌমুহনী এলাকায়।
নির্বাচনের দিনেও কাজের সন্ধানে...প্রশ্ন করতেই বেলাল নামে কুড়িগ্রামের একজন বললেন, “না হলে তো পেট চলবে না।”
ভোট নিয়ে সাংবাদিকের এসব প্রশ্ন তাদের কাছে অবান্তর, অপ্রয়োজনীয়। তাই কথা বাড়াতে চাইছিলেন না। এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজতে লাগলেন, দিন মজুরের খোঁজে কেউ আসে কি না।
অথবা এমনও হতে পারে, সকাল ৯টার দিকে আসা আধা ঘণ্টার বৃষ্টি তাদের খোলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেয়নি।
সিটি করপোরেশন হওয়ার পর তৃতীয়বারের মত নগর কর্তৃপক্ষে নিজেদের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে বুধবার ভোট দিচ্ছে কুমিল্লাবাসী। ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।
ভোট উপলক্ষে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি দেখা গেছে সড়কে। সড়কে অন্য দিনের মতো সাধারণ মানুষের সমাগম নেই। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও খাবার হোটেলেগুলো খোলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি, সবাই সুন্দরভাবে ভোট দিচ্ছেন। বৃষ্টি আসার কারণে ভোটার উপস্থিতি একটু কম আছে।”
ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও খবর