বুধবার চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় নিজ বাসভবনের হলরুমে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করছেন, জনশুমারির মাধ্যমে দেশের শিক্ষার হারের একটি সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব হবে।
দেশে প্রথমবারের মত ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এ কাজটির মাধ্যমে পাওয়া তথ্য উপাত্ত নানা ধরনের গবেষণায়ও কাজে লাগবে।
জনগণের সঠিক সংখ্যা বা পরিসংখ্যা না থাকলে উন্নয়ন ‘সম্ভব না’ মন্তব্য করে এ কাজটিকে উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “দেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে, সেই অগ্রযাত্রাকে নিয়ে যাবার জন্য এবং আরও বেগবান করার জন্য এই জনশুমারিতে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগবে।”
অন্যদের মধ্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নাইমা রহমান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, পুরানবাজার ডিগ্রি কলজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার রাত ১২টায় ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট’ হিসেবে ধরে তথ্য সংগ্রহকারীরা সপ্তাহব্যাপী এ জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু করেছেন; শেষ হবে ২১ জুন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ বছর পর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা হয়।