মঙ্গলবার মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই রায় দেন।
দণ্ডিত নাসির বেপারী (৩৮) মাদারীপুর সদরের চর কুলপদ্বির কাদের বেপারীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২ এপ্রিল বিকালে লিটন তাইয়ানি (৩৮, ওই সময়ের বয়স) ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য মাদারীপুর সদরের চর কুলপদ্বির বাড়ি থেকে চৌধুরী ক্লিনিকে আসার পথে উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়কে উঠলে একদল লোক হামলা চালায়। তারা লিটন তাইয়ানিকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় লিটন তাইয়ানির ভাই মিজান তাইয়ানি বাদী হয়ে পরদিন [৩ এপ্রিল] ৯ জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ওই বছরের ৬ জুলাই নাসির বেপারী ও সুমন বেপারীর নামে অভিযোগপত্র দেন; বাকি সাত জন আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন।
“পরে মামলার বাদী মিজান তাইয়ানি এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে আদালত সব আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দেন।”
পিপি সিদ্দিকুর রহমান সিং আরও বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর চলা মামলায় আদালত নিহত লিটন তাইয়ানির ভাগ্নে নাসির বেপারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং বাকি ৮ জন আসামিকে খালাস দেয়।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার জাহের বেপারীর ছেলে মজনু বেপারী ও মান্নান বেপারী, মন্নান বেপারীর ছেলে সজীব বেপারী, জব্বার মীরার ছেলে ইব্রাহিম মীরা, সোবাহান মীরার ছেলে হাবুল মীরা, কালাম মীরার ছেলে ফারুক মীরা, কাদের বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী ও এসকান্দার খানের ছেলে সোহেল খান।